Thursday, March 14, 2024

অন্ধের অন্ধকার

বিষাদ দিনযাপনের ইতিহাস থাকুক শহর জুড়ে।

ঘর থেকে বের হলেই যেন দেখতে পাই,
নষ্ট হওয়া খাবারের গন্ধে কতটা উন্মাদ দাঁড় কাক।
ঘৃণাভরা কোলাহল ভাঙলেই যেন চোখে ভাসে,
নর্দমায় ভেসে যাওয়া নবজাতকের লাশ।
পাশ ফিরে তাকালেই যেন দৃশ্য দেখি,
উলঙ্গ এক শিশুর অনাহারী মুখ।

এইসব শহুরে আর্তনাদ না শোনার ভান করে আমি উঠে বসবো মার্সিডিজ। হনহন করে ছুটে যাবো দূরে। বহু দূরের কোনো ট্রাফিক সিগনালে থমকে দাঁড়াবে গাড়ি। জানালার কাচে আঙুল রাখবে শ্যাম বর্ণের কিশোরী। এক হাত ভর্তি সাজানো ফুলের মালা; অন্য হাতে সুখ-দুঃখের জোয়ার-ভাটা। ফুল নয়, হাসি বিক্রি করা কিশোরীর চোখ দেখে আমি জেনে যাবো— গরীবের কোনো বয়স নেই।

শহরের পর শহর, গ্রামের পর গ্রাম পেরিয়ে
আমি ছুটে যাবো সমুদ্রের খুব কাছে।
অসীম শূন্যতার অন্ধকারে চেয়ে
আমি প্রতিধ্বনি খুঁজবো আমার দুঃখের।
দিগঙ্গনার কণ্ঠ ভেসে আসবে বাতাসে; জানাবে সে—
হৃদয়ভাঙা দুঃখের সকল ইতিহাস
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমারই শরীরে।

অন্ধের অন্ধকার

বিষাদ দিনযাপনের ইতিহাস থাকুক শহর জুড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন দেখতে পাই, নষ্ট হওয়া খাবারের গন্ধে কতটা উন্মাদ দাঁড় কাক। ঘৃণাভরা কোলাহল ভাঙলেই য...