Sunday, December 25, 2022

হিমুকরণ - ০১

অজ্ঞাতনামা একটা ছেলে ঢাকায় প্রবেশ করে। সে নিজেকে শুধু আড়াল করতে চায়। তাই নিজের মাঝে একটা অন্য মানুষ তৈরি করবে সে। অন্য মানুষ, অন্য নাম, অন্য অঙ্গভঙ্গি, অন্য সাজ, অন্য সবকিছু। আপাতত ঢাকায় একটা মেসে উঠে কোন এক নাম দিয়ে চালিয়ে দিছে। তারপর মেসে, মেসের-বাইরে মানুষজন পরিচিত হয়। এক সিগারেট দূরত্বে এক মেসে একজন বন্ধু ছিল উচ্চতর গাজাঁখুর, দিনে পাঁচ বেলা গাঁজা খাওয়া লোক।

একদিন অজ্ঞাতনামা যুবকটি উচ্চতর গাঁজাখুরের থেকে দুই টান উচ্চতর গাঁজা খেয়ে নিজের মেসে ফিরতেছিলো। মেসের সামনে এসে মনে হলো রাস্তায় হাঁটছে প্রচণ্ড ভালো লাগছে। পিছু ফিরে দোকান থেকে একটা চকলেট কিনে হাঁটতে লাগলো। চকলেট শেষ হলে পরপর দুই প্যাকেট চানাচুর খেতে খেতে আরও হাঁটতে লাগলো। এভাবে ঘোরের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে মেসের গেইট অফ করে দেওয়ার সময় হয়ে গেলো। সে আরও হাঁটতে লাগলো। অনেক হেঁটে মেসে ফিরে মেস মালিককে ডেকে গেইট খুলে বাসায় ডুকে। হেঁটে হেঁটে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে তার মনে হল হিমালয়ের মতো পর্বত বেয়ে উঠছে। সে ভাবছে এই হিমালয়টা পর্বতটাকে কেটে ছোটো করে ফেলা যায় কিনা। হঠাৎ মাথায় প্রশ্ন আসলো, হিমালয় কেটে ছোটো করে ফেললে কি হবে? সে নিজেই বলে উঠলো "হিমু"। এবং পরক্ষণেই খেয়াল করলো, হিমালয় থেকে হিমু; নিজেকে অন্য করে ফেলার ব্যাপার। ভালো লেগে গেলো। এবং নিজের অজ্ঞাতনামা ক্যারেক্টারকে একটা নাম দিলো, "হিমালয় হিমু"। যেই নামের ভেতর আছে নিজেকে বদলিয়ে ফেলার আহ্বান।

গাঁজা খেয়ে রাতে হাঁটার বিষয়টা হিমালয় সাহেবের চরম ভালো লেগে গেলো। ঘোরের মাঝে সবকিছু কেমন যেন অন্যরকম লাগে। তাই প্রায়ই গাঁজা খেয়ে মেসে ফিরতে দেরি করে। এজন্য মেস মালিক বা ম্যানেজাররা অনেক ঝামেলা করে। এবং কয়েক মাস পরপর মেস বদলাতে হয়। 

(আপাতত আর টাইপ করতে ইচ্ছা করতেছে না। হিমু আমারও খুব প্রিয় ক্যারেক্টার। কিন্তু একটা সুস্থ মানুষ কিভাবে এমন আজব কাজকাম করতে পারে এটা ভেবে ভেবে এতটুকু কল্পনা করলাম। "গাঁজা খাওয়া ছাড়া একটা মানুষ এমন অদ্ভুত হতে পারে", এই কথাটা আমার লজিককে হার মানাতে পারছে না। তাই আমার লজিকের দিকে মনোযোগ দিয়ে দৃশ্য আঁকল্যাম জাস্ট।)

No comments:

Post a Comment

অন্ধের অন্ধকার

বিষাদ দিনযাপনের ইতিহাস থাকুক শহর জুড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন দেখতে পাই, নষ্ট হওয়া খাবারের গন্ধে কতটা উন্মাদ দাঁড় কাক। ঘৃণাভরা কোলাহল ভাঙলেই য...