কখনো নিজের দিকে তাকানোর সাহস হয় নি বলে,
আজীবন তাকিয়ে ছিলাম আকাশের দিকে- কিংবা,
যারা তাকিয়ে থাকে নিজেদের দিকে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে আমি জানতে পেরেছি,
মূলত আকাশ বলে কিচ্ছু নেই।
যতদূর চোখ যায়, ঠিক তার ঠিকানায়
যে নীল রঙ দৃশ্য আঁকে, তা শুধু অন্ধদের প্রাচীর।
যেসকল মানুষ নিজেদের দিকে তাকিয়ে থাকে,
তাদের থেকে আমি শিখেছি,
অন্যদের থেকে শেখার কিছু নেই।
জীবন হলো তথাকথিত আকাশের চেয়েও বিশাল,
এখানেও মেঘেদের মতো খেলা করে ঝাপসানো স্বপ্ন।
এরপর যখন আমি,
অন্ধকার থেকে বেরিয়ে নিজের দিকে তাকালাম-
নিঃসঙ্গ চাঁদের মতো উলঙ্গ এক শরীর দেখতে পেলাম।
যার কপালে খুদাই করে লেখা আছে "আত্নঘৃণা"।
তারপর আমি ভালোবাসার উদ্দেশ্যে,
মানুষের ভীড়ে ডুকলাম, দেখতে পেলাম-
মরিচিকার পোশাক পরে তাকিয়ে আছে আকাশে।
চোখ ঝলসে গেছে সূর্যের উত্তাপে। তবু,
"ভালোবাসা পাইনি বলে, ভালোবাসা দেইনি" সমীকরণে,
একে অপরকে চোখে চশমা দিয়ে দেখছে।
শরীর থেকে শরীরের দূরত্ব ক্রমাগত কমছে,
হৃদয় থেকে হৃদয়ের দূরত্ব ক্রমাগত বাড়ছে।
এতো সভ্য জনতার ভীড়ে আমি এক উলঙ্গ নিঃসঙ্গ মানব।
যার চোখ এখনো নির্মল আর্দ্র, চশমাতে অনভ্যস্ত।
যে চায় সহশ্র মানুষের ভীড়ে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে।
যে চায় ভালোবেসে হৃদয় থেকে হৃদয়ের দূরত্ব কমিয়ে নিতে।
Public koira ditam??
ReplyDeleteকিভাবে?
Delete