Sunday, December 25, 2022
হিমুকরণ - ০১
Thursday, September 29, 2022
অথচ আমি মানুষ - দুই
চৈত্রের দুপুরে উইড়া বেড়ানো শিমুলতুলার মতো
ভরদুপুরে তোমার বাড়ি যাইতাম।
অথচ আমি মানুষ,
তোমারে না পাওয়া দুপুরগুলাতে তোমার কাছে উইড়া যাইতে পারি না।
আমি যদি মানুষ না হইতাম,
চন্দ্রমল্লিকা ফুলের মতো ফুইটা থাকতাম তোমার বারান্দায়,
শেষ বিকেলের নিরবতায় আলতো করে ছুঁয়ে দিতে আমায়।
অথচ আমি মানুষ,
তোমার বারান্দায় আমার নামে বরাদ্দ কোনো জায়গা নাই।
আমি যদি মানুষ না হইতাম,
শরতের আকাশে সাদা সাদা মেঘ হয়ে কাশফুল এঁকে দিতাম,
তুমি আমাকে না পেয়ে ছুটে যেতে কাশফুলেদের কাছে।
"আমি নেই" এই একটা অনুভূতি ছুঁয়ে দিতো তোমায়।
অথচ আমি মানুষ,
চাইলেও তোমার হেঁটে চলা রাস্তার পাশে ঘাস হইতে পারি না।
Sunday, September 25, 2022
পরিত্যাক্ত মানব
Sunday, September 11, 2022
অসুখ হইলে আমার ইচ্ছা করে
Thursday, August 25, 2022
When a blind man cries
Thursday, July 7, 2022
Comfortably Numb - Pink Floyd
হ্যালো—, হ্যালো
কেউ আছো এইহানে?
শুনতাছো? একটু খালি আওয়াজ দেও।
কেউ আছো ঘরে?
একটু বাইর হইয়া আসো,
শুনলাম তুমি মন খারাপ কইরা আছো।
আইচ্ছা, আমি তোমার কষ্ট মুইছা দিমু।
তোমারে আগের মত সহজ কইরা দিমু।
বসো,
তোমার দুঃখ বুঝার লাইগা,
আগে কিছু কথা কইয়া লও,,
তুমি কি দেখাইতে পারবা,
কোনখানে দুঃখটা তোমার?
মুইছা যাওয়ার মত কোনো দুঃখ না এইটা,
দূরের জাহাজ থাইকা উইড়া যাওয়ার ধোয়ার মত
আপনি শুধু বাতাসে ভাইসা আইছেন।
আপনার ঠোঁট ঠিকই নড়তাছে,
কিন্তু আমি কিছু শুনতাছি না।
আমি যখন ছোট ছিলাম, আমার একডা অসুখ ছিলো,
আমার হাত দুইডা ছিলো, বেলুনের মতো নরম।
সেই মনের অসুখটা এখনও আমার মাঝেমধ্যেই হয়।
আমি না পারমু আপনারে বুঝাইতে,
না পারবেন আপনি আমারে বুঝতে।
দেইখা মনে হইলেও, আমি আসলে এতো সুখী না।
আমি, আমি শুধু এইটারে অভ্যাস বানাইয়া ফালাইছি।
আচ্ছা—,
যদি শুধু হালকা হওয়ার লাইগে একটুখানি কইতা,
একটু খালি উসফাস লাগতো। কিন্তু,
একটুখানি চেষ্টা কইরা দেহো।
আমি কইতাছি তুমি সুখী হবা।
তোমারে দৃশ্যের মতো রাস্তা দেখায়া দিবো,
বাইর হইয়া আহো, সময় তো চইলাই যায়।
মুইছা যাওয়ার মত কোনো দুঃখ না এইটা,
দূরের জাহাজ থাইকা উইড়া যাওয়ার ধোয়ার মত
আপনি শুধু বাতাসে ভাইসা আইছেন।
আপনার ঠোঁট ঠিকই নড়তাছে,
কিন্তু আমি কিছু শুনতাছি না।
আমি যখন ছোট ছিলাম,
একটা অবসাদবিহীন নির্মল অনুভূতি ছিলো।
ভাবনার আড়ালে মাঝেমধ্যেই চোক্ষে ভাসে।
চোখ খুইলা দেখতে গেলেই হারায়া যায়।
আমি আর হাত বাড়াইয়া ধরতে পারি না।
ছোট্ট বাচ্চাডা বড় হইয়া গেছে,
তার স্বপ্নটাও হারায়া গেছে।
আমি, আমি শুধু এইটারে অভ্যাস বানাইয়া ফালাইছি।
Sunday, June 5, 2022
অথচ আমি মানুষ - এক
Friday, May 27, 2022
আমি যেইখানে জন্মাইছিলাম
আমি যেইখানে জন্মাইছিলাম, সেইখানে ভোর হইলে মোরগ ডাকতো। গাছের ডালে দল বাইন্ধা পাখিরা কিচিরমিচির করতো। উঠোন ঝাড়ু দেওয়ার আগে সেইখানে আমার পায়ের ছাপ পরতো। মাঠের ঘাসে জইমা থাকা শিশিরে আমার পা দুইখান গোসল করতো। দুই হাত দিয়া তুইলা নেওয়া শিশির দিয়া মুখ ধুইলে আমার পরাণ জুড়াইতো। বকুলতলায় তাজা বকুলের ঘ্রাণ পাওয়া যাইতো। ঘরের দেয়ালে সেই বকুল মালা হইয়া ঝুইলা থাকতো। শীতের দিনে ভাতভাজি আর গরমের দিনের পান্তাভাত আমারে তৃপ্তি দিতো। আমার মায় চুলায় ভাত উঠানোর পর, উঠোনের পাশের আম গাছটাতে ইষ্টিকুটুম গান গাইতো।
আমি যেইখানে জন্মাইছিলাম, সেইখানে লোডশেডিং ছিলো। ভরদুপুরে পুকুরপাড়ে দক্ষিণা বাতাস আইতো। ফ্রিজ না থাকলেও, নানানরকম গাছের টাটকা ফল ছিলো। দল বাইন্ধা ছুটাছুটি করার মত পোলাইপান ছিলো। লাফালাফি করার মতো নদী ছিলো, পুকুর ছিলো।আমি যেইখানে জন্মাইছিলাম, সেইখানে বিকেল হইলে দল বাইন্ধা মাঠে খেলা হইতো। কানামাছি, গোল্লাছুট, হাডুডু, জুতাচুর, চোর-পুলিশ থেইকা শুরু কইরা ক্রিকেট, ফুটবল, লুডু; নানান রকম খেলা। শিশু-কিশোরের শরীরে বিকেলের ধুলো জমতো, মায়ের বকুনি শুনতো, মাইর খাইতো। শেষমেশ মাগরিবের আজানে ঘরে ফিরতো। হারিকেন জ্বালায়া পড়তে বসতো।
আমি যেইখানে জন্মাইছিলাম, সেইখানে দিনের বেলায় ফড়িং উড়তো। আর রাইতে জোনাক পোকার আলো জ্বলতো। সেই আলো মশারীর ভিতর পোষ মানতো। রাতের অন্ধকারে গাছের শীতল বাতাস বইতো। সেই বাতাসে ছোট বড় সবাই গল্প করতো। হাত পাখায় নানান রকম দৃশ্য ছিলো। সেই দৃশ্য ধীরে ধীরে দুলতো। ঘুমের সময় টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ ছিলো।
অথচ আমরা সভ্যতা আর আধুনিকতার লোভে পইরা আমাদের জন্মের স্থান বেইচা দিছি একদল কষাইয়ের কাছে। কষাইয়েরা হাজার বোল্ডের ইলেকট্রিসিটি দিয়া আমার ছেলেবেলার জোনাকপোকাদের মাইরা ফালাইছে। আমাদের হাত থেইকা কাইড়া নিছে হাতপাখা। একটা স্মার্টফোন দিয়া জবাই করছে আমাদের ছেলেবেলা। "পড়ালেখা" নামের হাতুড়ি দিয়া পিষাইয়া ফেলছে আমাদের ছেলেমানুষী আত্মা। এইসবের পর, আমি যেইখানে জন্মাইছিলাম, সেইখানে কেউ কোনো শিশুরে জন্ম দিতে পারবো?
কৃত্রিম মৃত্যু
Sunday, May 22, 2022
প্রত্যাবর্তন
Tuesday, May 10, 2022
আবার যদি পৃথিবীতে ফিরা আইতাম
Saturday, April 23, 2022
শহুরে চিড়িয়া
Thursday, April 21, 2022
আত্নপ্রেম
প্রেমহীন প্রেম
Saturday, April 16, 2022
বিধ্বস্ত মানব
একটা শরীর, ব্যর্থতার ছায়াতে ডুবে থাকা কোন এক মানুষের শরীর। যার প্রতিটি লোমকোপে জ্বলছে আত্নঘৃণার আগুন। যে আগুনে পুড়ে শরীর হয়ে গেছে কঙ্কাল। যে কঙ্কাল বয়ে নিয়ে চলে শুধুমাত্র একটি প্রাণ। যে প্রাণ ভুলে গেছে ভালোবাসে, ভালোবাসা পাওয়ার অভাবে যে প্রাণ ভুলে গেছে ভালোবাসার স্বাদ। পুড়ে যাওয়া শরীরে শুধুমাত্র দুটি চোখ ছলছল করছে। যেমন ছলছল করে, ভোরের সকালে ঘাসের উপর জমে থাকা দুই ফোটা শিশিরকণা। যে চোখ চায়, এক জোড়া চোখের নির্মল দৃষ্টি। যে দৃষ্টিতে থাকবে না কোনো বিনিময়, থাকবে শুধুই ভালোবাসা।
ঘৃণার রঙ নিয়ে বেঁচে থাকা সেই কঙ্কাল ছুটে চলে মানুষের থেকে অনেক দূরে। যতদূরে গেলে কোনো প্রাণ চোখ মেলে দেখতে পারবে না তার শরীরের আর্তনাদ। যতদূরে গেলে ছড়াবে না তার পঁচে যাওয়া শরীরের বিষাদের ঘ্রাণ। নদিতীরের শীতল বাতাসের বেগের মতো ছুটে চলে সে শরীর। ছুটতে ছুটতে মিশে যায় সূর্যের অন্ধকারে। যেখানে সূর্যের অভিশাপে শুকিয়ে গিয়েছে চোখের নির্মলতা। অন্ধকারের আশির্বাদে শরীর পেয়েছে বিষাদের কালো রঙ।
তারপর বাতাসে শুকনো পাতার ওলটপালটের মতো করে হেঁটে চলছে কোনো উদ্দেশ্যবিহীন গন্তব্যে। সূর্যের মৃত্যুর পর সে পৌঁছে গেছে এক অভিশপ্ত লোকালয়ে। যেখানে মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র লক্ষ নিজেকে বৃক্ষ বানানো। যে বুলেটের আঘাতে নিহত হয়েছে নিজেদেরই পূর্বপুরুষ, সেই বুলেটের বারুদের গন্ধ তাদের বেঁচে থাকার উপকরণ।
বিভ্রান্ত সব মানুষের সংস্পর্শে পুড়ে যাওয়া শরীরে জন্ম নিয়েছে নতুন ত্বক। যার প্রতিটি কোষের সংযোগস্থলে পরগাছা হয়ে জন্ম নিয়েছে হতাশা। তার পুড়ে যাওয়া শরীরের ছাই তাকে উপহার দিয়েছে আত্নঘৃণার পোষাক। মানুষ হয়ে যে শরীরের জন্ম হয়েছিলো, সেই শরীর এখন নিজেকে বৃক্ষ বানাতে ব্যস্ত। নিজেকে পুতে দেয়ার জন্য ব্যর্থতার কোদাল দিয়ে খনন করে চলছে সময়ের ভূমি। নিজেকে বৃক্ষে পরিণত করাটাই এখন তার একমাত্র লক্ষ। যে লক্ষ তাকে নির্ধারণ করে দিয়েছে এই অভিশপ্ত মানবসভ্যতা।
বিষাদময় এই শরীর তবুও স্বপ্ন দেখে। তবু স্বপ্ন দেখে মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার। ইচ্ছে করে ব্যর্থতার কোদালকে পুড়িয়ে দিয়ে অভিশপ্ত লোকালয় থেকে অনেক দূরে চলে যেতে। যতদূর চলে গেলে কেউ জানতে পারবে না তার আর্তনাদের গল্প। যতদূর ছুটে গেলে সে খুঁজে পাবে নির্মল চোখ, অভিনয়হীনতা। যেখানে সে খুঁজে পাবে নির্মল দৃষ্টি, ভালোবাসা। যেখানে মানুষজনের লক্ষ নিজেকে বৃক্ষ বানানো নয়; বরং জীবনকে সহজ করা। যতটা সহজ করলে কেউ তার নিজের সাথে নিজেকে মানুষ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে। যে লোকালয় স্বপ্নভঙ্গের অপরাধে সুখকে হত্যা করে না। বরং, বিচ্ছেদের আশির্বাদে ভালোবাসার চাষাবাদ করে।
যে প্রেম আমি চাই
Sunday, April 10, 2022
মৃত্যু যতদূর- ততদূর উদাসীনতা
Tuesday, March 29, 2022
বৈশাখী ঝড়
পৃথিবীর আর্তনাদ
অপ্রেমিক হয়ে উঠা
উপহার
তাত্ত্বিক প্রেমিক
আত্ন-অপ্রকাশ
আমাদের চোখ
বোবা প্রেমিক
পরিচয় বদল
আমি একদিন প্রেমিক হবো
অপ্রেমিকের কবিতা
নববধুর জবানবন্দি
Monday, March 28, 2022
আমাদের প্রতিবিম্ব
এ শহর বড্ড মিথ্যেবাদী
সিগারেট বনাম প্রেম
হৃদয়ের বসতবাড়ি
জীবন বনাম হৃদয়
প্রাক্তন
মেলাদিন পরে আবার আমার মনে পড়লো,
আমি তোমারে ভালবাসতাম!
মেলাদিন পরে আবার আমার মনে পড়লো,
তোমারে কাছে ডাকতাম, পাশে চাইতাম।
তোমার গলার একটা গান শোনার লাইগা
মাঝরাইতে কেমনে হাসাইতাম।
তুমি কি এখন মাঝরাইতে গান গাও না?
রাইতের খাবারের কথা ভুইলা যাও না?
বিকাল সন্ধ্যায় বাসা থাইকা বাইর হইলে,
তোমার বাসার সামনের গলির মোড়ে
আমারে খুঁজো না?
নাকি তোমার মতোন,
তোমার বাসাটারেও বদলাইয়া ফালাইছো!
মেলাদিন পরে এখনও আমার মাঝেমধ্যে অসুখ হয়
জ্বর মাপার উছিলায় এখন কি আর তোমার
আমার কপাল ছুঁইতে ইচ্ছা করে না?
বেলপুরির বাহানায় গলির মোড় ঘুড়াইয়া
এখন কি আর রাস্তা বাড়াইতে মন চায়না?
"আমি শুনেছি সেদিন তুমি" গানটা হুনলে,
আমার কথা মনে পড়ে না?
নাকি গানটাই আর হুনো না, গাও না?
দ্যাহো আমিও কেমন বদলাইয়া গেছি,
“বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি”-তে তোমারে চাইনা।
অথচ দ্যাহো,
তোমার রবীন্দ্রনাথ বদলায় নাই
আমার জীবনানন্দ দাশও বদলায় নাই
তোমার নীল আসমান বদলায় নাই
আমার রাইতের আন্ধারও বদলায় নাই
তোমার মতোন,
তোমার ভেজা চুলের গন্ধটাও কি বদলায়া গ্যাছে?
মেলাদিন পরে এখনও আমার কাছে,
"প্রেমিকা" শব্দটার চেয়ে তোমার নামটা প্রিয়।
তোমার দেওয়া আমার ডাকনামটা কি ভুইলা গেছো?
নাকি অন্য কাউরে দিয়া দিছো?
আচ্ছা, মানুষ বদলায়া ভালোবাসান যায়?
ভালো যদি বারবার বহুজনরে বাসা যায়
তাইলে আমরা তারে ভালোবাসা বলি ক্যান?
আমি জানি ভালোবাসা হইলো তোমার মতন,
যার কোন বিকল্প নাই, অন্যত্র নাই।
আচ্ছা, তুমি এহন যেই শহরে থাহো,
সেই শহরে কেউ বকুল কুড়ায়া আনে?
তুমি এহন যেই রাত্তিরে জাগো,
সেই রাত্তিরে কেউ গান শোনার আবদার করে?
আজকাল যখন ঘুমায়া থাকো,
তোমার ঘুম জড়ানো কণ্ঠ শোনার লাইগা ফোন আসে?
বিকালের আসমানে মেঘ করলে,
বৃষ্টির প্রার্থনা নিয়া কেউ রাস্তায় দাড়ায়া থাকে?
অথচ আমি জানি,
আমি তোমারে ভালবাসি না
এম্নে কি ভালোবাসান যায়?
অবশিষ্ট প্রেম
অপ্রেমিকের আত্নপ্রকাশ
কর্পোরেট প্রেমের জন্ম
মানুষ এবং মানুষ
অন্ধের অন্ধকার
বিষাদ দিনযাপনের ইতিহাস থাকুক শহর জুড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন দেখতে পাই, নষ্ট হওয়া খাবারের গন্ধে কতটা উন্মাদ দাঁড় কাক। ঘৃণাভরা কোলাহল ভাঙলেই য...
-
ভেঙে যাওয়া তামাকের ধোঁয়া তবু পথ চিনে, আমার এ হৃদয় তবে কেন অন্ধকার প্রিয়! অন্য কারোর নয়; স্বয়ং আমার নিজের— বিশ্বাস ভুলে গেছে গোপন ইতিহাস, আত্...
-
বিষাদ দিনযাপনের ইতিহাস থাকুক শহর জুড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন দেখতে পাই, নষ্ট হওয়া খাবারের গন্ধে কতটা উন্মাদ দাঁড় কাক। ঘৃণাভরা কোলাহল ভাঙলেই য...
-
শশ্মান আমার ভিটা না। তোমরা আমাকে ঘরহীন করায়, শশ্মানে ঠায় নিতে বাধ্য আমি। তোমরা কি অন্য কোথাও যেতে বলছো? রেলস্টেশন, সদরঘাট, ফুটওভারব্রীজ? সব...